সোমবার, ১৮ জুন, ২০১২

টিয়া নিয়ে মামলা



*পোস্ট নম্বর>>>(১)
*বাংলাদেশের ও পৃিথবীর সকল প্রকার খবর নিয়ে আমি>>> বিডি মোবাইল নিউজ।।

বিভাগঃ গ্রাম এবং গণ্জ।

*টিয়া নিয়ে মামলা।বিস্তারিতঃ---

টিয়া পাখির মালিকানার দাবিতে মামলা গড়িয়েছে গ্রাম আদালত অবধিদুই পক্ষের ভাষ্য, প্রয়োজনে তারা উচ্চ আদালত পর্যন্ত যেতে রাজি আছেতবু পাখিটি তাদের চাই-ই 
ঘটনাটি মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) গ্রাম আদালতেরএদিকে মামলার রায় দেওয়া নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন গ্রাম আদালতের বিচারক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম
অভিযোগকারী আমঝুপি কারিগরপাড়ার জাহান আলী (৪৯) বলেন, তিনি ২০০০ সালে বাচ্চা অবস্থায় টিয়াটি সংগ্রহ করে পোষেনপাখিটির নাম দেন মিঠুতাঁদের সন্তান না থাকায় পাখিটি সন্তানতুল্য হয়ে ওঠে২০১০ সালের আগস্টে ঝড়ের দিনে পাখিটি নিখোঁজ হয়দুই মাস আগে তিনি জানতে পারেন, পাখিটি আমঝুপি মসজিদপাড়ার আহম্মদ আলীর বাড়িতে আছেতিনি পাখিটিকে নিজের পোষা বলে দাবি করে সেটি ফেরত চানএমনকি বিনিময়ে সাত হাজার টাকা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনকিন্তু আহম্মদ আলী পাখিটি না দেওয়ায় তিনি গ্রাম আদালতে মামলা করেন 
অন্যদিকে আহম্মদ আলীর দাবি, ‘পাখিটি আমাদেরগ্রাম আদালতে মামলা হয়েছে, হোকপ্রয়োজনে পাল্টা মামলা করবহাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে যাবতবু টিয়া দেব নাতাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের (৪০) দাবি, তিনি চার বছর ধরে পাখিটি পুষছেনপাখিটিকে তিনিই কথা বলা শিখিয়েছেন 
আদালতের বিচারক আমঝুপি ইউপির চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে টিয়াটি মামলার বিবাদী আহম্মদ আলীর কাছে আছেতিনি বলেন, মামলার তিনটি ধার্য দিন গেছেদুই পক্ষই পাখির মালিকানার দাবিতে অনড়এবার তিনি পাখিসহ দুই পক্ষকে আদালতে হাজির হতে নোটিশ দেবেনআদালতে ইউনিয়নের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তাঁদের মতামত নিয়ে পাখিটির মালিকানার রায় দেওয়া হবে
এ ব্যাপারে গাংনী ডিগ্রি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এনামুল আযীম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া বনের প্রাণী খাঁচাবন্দী করে পোষার কোনো আইন নেইতাই পাখিটি ছেড়ে দেওয়া উচিত
                         

1 টি মন্তব্য: